নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত
নতুন বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকের সমান ন্যায্যতা ও একটি ফেয়ার শেয়ার (সমঅধিকার) নিশ্চিত করবে বিএনপি। এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘এলজিইডি-আরডিইসি’ ভবন মিলনায়তনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, ‘নতুন আইন প্রণয়ন, বিদ্যমান আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, বরাদ্দ করা অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি কিংবা সেই অর্থের সুষ্ঠু বণ্টন- যেভাবেই হোক, আমরা চেষ্টা করব আপনাদের (প্রতিবন্ধী) অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে।’ প্রতিবন্ধীরা একা নয়, তাদের নিয়েই আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি।
‘সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর গঠনের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি পরিচালনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় করবে।
বিএনপি প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগঠনের পরিষদ (পিএনএসপি) সম্বন্বয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১৫০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
পিএনএসপি’র সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিষদেও বিশেষ অনুরোধে পরবর্তীতে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিএনপি প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে। তাঁর দল বিএনপি সমাজকল্যাণ, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চায়, যাতে তাদের একজনও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচত হয়ে ক্ষমতায় গেলে আমরা সকল গণপরিবহন এবং সরকারি ও বেসরকারি ভবনকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিবান্ধব করার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে চাই।’
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিবন্ধী নাগরিকদের চাকরি পেতে অনেক সময় সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিতে চাই’। যদি কোন কোম্পানি নির্দিষ্ট শতাংশ প্রতিবন্ধী নাগরিক নিয়োগ করে, তাহলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের কর মওকুফের সুবিধা প্রদান করা হবে বলেও তারেক রহমান উল্লেখ করেন।
পিএনএসপির সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব (তিনি হুইল চেয়ারে বসা প্রতিবন্ধী) এবং আরেকজন সঞ্চালক ইফতেখার মাহবুব (তিনি নিজেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী)।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যারা আপনাদের মতন কঠিন শারীরিক বা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হইনি তারা কিন্তু অনেক সময় বুঝতে পারি না কি অসীম বাধা অতিক্রম করে আপনারা স্বপ্ন দেখেন এবং আমাদেরকে স্বপ্ন দেখান বা দেখতে শিখান।’