নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির (ডিটিএএ) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ডিটিএএ চুক্তি অনুসারে ভারত সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত রাষ্ট্র (এমএফএন) হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ধারাটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড, যা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের এই পদক্ষেপ দেশটিতে কাজ করা ভারতীয় কোম্পানিগুলোয় সুইস বিনিয়োগ ও করের ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থাৎ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশ আয়ের ওপর করের বোঝা বাড়তে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সুইজারল্যান্ডে কাজ করা ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য উৎসে কর কর্তন ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সুইজারল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে ডাবল ট্যাক্স অ্যাভয়েডেন্স অ্যাগ্রিমেন্ট (ডিটিএএ) বা দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে। ভারতের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডে কাজ করে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যেন অর্জিত আয়ের জন্য দুই দেশেই কর দিতে না হয়, সে লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে এ চুক্তি করা হয়। যা পরে ২০১০ সালে সংশোধিত হয়েছিল।
চুক্তির আলোকে ব্যবসায়িক মুনাফা, লভ্যাংশ ও সুদের মতো নির্দিষ্ট আয়ের ওপর কর পাওয়ার প্রাথমিক অধিকার কোন দেশের রয়েছে, তা একটি নিয়মের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। ডিটিএএ চুক্তিতে ভারত এত দিন মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) হিসেবে বিশেষ সুবিধা পেত, যা আগামী জানুয়ারি মাসে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিল সুইজারল্যান্ড।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া একটি রায়ের বিপরীতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, আয়কর আইনের অধীন বিজ্ঞাপিত না হলে ডিটিএএ কার্যকর করা যাবে না। এর ফলে নেসলের মতো ভারতে কাজ করা কিছু সুইস কোম্পানিকে লভ্যাংশের ওপরে উচ্চ হারে কর দিতে হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে আইসল্যান্ড, লিখটেনস্টেইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড— ইউরোপের এই চার দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইএফটিএ) হয়। ওই চুক্তির আলোকে আগামী ১৫ বছরে ভারতে ১০ হাজার কোটি বা ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সুইজারল্যান্ডের এই পদক্ষেপ ভারতে বিনিয়োগের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।