নিউজ ডেস্ক
Mahfuzul Hasan
বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় শহর নিউইয়র্ক, যেখানে বিভিন্ন জাতি-ধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে। এখানে বাংলা ভাষায় সংবাদ প্রচারের কাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে এটিভি ইউএসএ। নিউইয়র্কের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য এটি এক ধরনের সেতুবন্ধন, যা তাদের শুধু তথ্যপ্রাপ্তির সহজতর পথই নয়, বরং গণমাধ্যমের মাধ্যমে সমাজের নৈতিক দায়বদ্ধতাও তুলে ধরে।
গণমাধ্যমের মূল দায়িত্ব হলো তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা, যাতে সমাজের প্রতিটি সদস্য তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। কিন্তু, এই প্রচারের মধ্য দিয়ে যদি সংবাদ পরিবেশন নৈতিক ও বস্তুনিষ্ঠ না হয়, তাহলে সেটা শুধু মিথ্যা ধারণা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধুমাত্র খবর সংগ্রহ ও পরিবেশন করা নয়, বরং সেগুলোর সততা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করাও। আজকের ডিজিটাল যুগে যখন তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তখন কোনো তথ্য ভুলভাবে বা পক্ষপাতদুষ্টভাবে প্রচার করা সমাজের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এখানে গণমাধ্যমের দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত।
- প্রথমত, বস্তুনিষ্ঠতা: সংবাদ বা প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা অপ্রমাণিত তথ্যের প্রচার গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের আস্থা কমিয়ে দেয়। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি, কারণ এটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
- দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমের গণতান্ত্রিক দায়িত্ব: গণমাধ্যম শুধুমাত্র একটি সংবাদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে জনগণের বিভিন্ন মতামত, আস্থা এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত হয়। তাই, সংবাদ পরিবেশকরা সঠিক, নির্ভুল ও সব পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে একদিকে যেমন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সমাজের উন্নয়ন সম্পর্কে জানানো হয়, তেমনি মানুষের সমস্যা ও চাহিদাগুলি তুলে ধরার মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
- তৃতীয়ত, তথ্যপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা: আজকের তথ্যপ্রযুক্তির যুগে, মানুষ বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করলেও, সবসময় সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে, সংবাদমাধ্যমের উচিত সতর্কভাবে যাচাই-বাছাই করা এবং প্রচারিত তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা। ভুল বা মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অনেক সময় মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, যা সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, গণমাধ্যমের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সংবাদ প্রদান ছাড়াও, সমাজে সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের পরিবেশন করা।