নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশ: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
চিকিৎসার নামে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলারের সমসরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডাটাসংক্রান্ত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
‘আন্তঃসীমান্ত তথ্য প্রবাহ: একটি বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শিরোনামে এ কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ‘আঞ্চলিক একীকরণে বিবিআইএনএসের (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা) মধ্যে আন্তঃসীমান্ত তথ্য প্রবাহ সক্ষম করা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গভর্নর বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে এখন ধরেই নেয়া হয় যে খনির চেয়ে ডাটাকে (তথ্য) মাইনিং করে যে খনিটা হয়, সেটার দাম অনেক বেশি। কয়লা খনি বা তেল খনির চেয়ে ডাটা খনি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ডাটাগুলো কাগজে-কলমে থেকে আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এগুলোর কোনো মূল্য আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো স্বদেশী ক্লাউড সেবাগুলো তেমন উন্নতি করতে পারেনি। এটা ছাড়া আমরা তথ্য সংরক্ষণ করতে পারব না। সেটা চিকিৎসা খাত হোক, পর্যটন হোক কিংবা অর্থনীতির অন্য কোনো খাত হোক। আমাদের আইনগতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে কাজ করতে হবে। সরকারকে কাজ করতে হবে। আমরা যদি স্থানীয় নীতিগুলো মানানসই না করি, তাহলে তথ্যের ব্যবহারটা করা যাবে না। বিদেশে চিকিৎসায় প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৪-৫ বিলিয়ন ডলার চলে যায়। কিন্তু তারা সেই টাকা কোথায় খরচ করেন আমরা জানি না। অনেকে পর্যটন ভিসায় বিদেশে গিয়ে ডাক্তার দেখান।’
স্বাস্থ্য খাতে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে দাবি করে গভর্নর বলেন, ‘আমরা গবেষণা করতে পারছি না। কারণ “বিগ ডাটা” আমাদের কাছে নেই। যদি থাকত, তাহলে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারতাম যে কোনটি বেশি কার্যকর।’
কর্মমালা সঞ্চালনা এবং সূচনা বক্তব্য দেন পিআরআই চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. জায়েদি সাত্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট নিধি পারেখ। প্রবন্ধের বাংলাদেশ অংশ তুলে ধরেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান।