ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করেছেন। টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দেশের আইনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাবেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে তাকে টাইমের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নামকরণ করা হয়।
টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি আমাদের দেশে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সাধারণত অভ্যন্তরীণ আইন প্রয়োগে সেনাবাহিনীর ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য একটি আইন রয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনকে দেশের প্রতি আক্রমণ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, আমি এটিকে আমাদের দেশের ওপর একটি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করব এবং দেশের আইন অনুযায়ী যত দূর সম্ভব এগোব।
ট্রাম্প তার র্নির্বাচনি প্রচারণায় বৈধ-অবৈধ উভয় ধরনের অভিবাসন মোকাবিলায় ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এই বিতাড়ন কার্যক্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং ফেডারেল সরকারের সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছেন।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক উভয় প্রশাসনই এর আগে মেক্সিকো সীমান্তে সীমান্ত টহল সহায়তায় ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনও সেনাবাহিনীকে সমর্থক ভূমিকা পালনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন আসন্ন সীমান্ত বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত টম হোম্যান।
ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নের দিকে মনোযোগ দেবে, যাতে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিবির স্থাপনের প্রয়োজন না হয়। তিনি বলেন, আমি চাই না তারা ২০ বছর ধরে শিবিরে বসে থাকুক। আমি চাই তারা দ্রুত বেরিয়ে যাক, আর দেশগুলো তাদের ফিরিয়ে নিক।
তিনি আরও বলেন, তার চার বছরের মেয়াদে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী রয়েছে বলে ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এই সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিবাসন সমর্থক আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের মতে, সব অবৈধ অভিবাসীকে অপসারণের ব্যয় এক দশকেরও বেশি সময়ে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার হবে।